শহর প্রতিনিধি: ফেনী থেকে নোয়াখালীগামী সড়কের মহিপাল অংশে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। চলমান বৃষ্টিতে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায় সড়কটি। সওজের ফেনী অফিস থেকে মাত্র তিনশো গজ দূরে এ সড়কের অবস্থান। তারপরও ফেনী সওজের কর্মকর্তারা অসহায়। বাজেট না থাকায় তারা সড়কটি সংস্কার করতে পারছে না। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে এ সড়ক দুরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এসব গাড়ি দীর্ঘ পথ ঘুরে গ্যাস কোম্পানি সড়ক হয়ে মহাসড়কে চলে যায়। আবার ফেনী থেকে চট্টগ্রাম-নোয়াখালী, ফেনী থেকে নোয়াখালী, লক্ষীপুর, রায়পুর ও ফরিদগঞ্জগামী গাড়িগুলো কর্দমাক্ত এ সড়কে চলাচল করে। কোন বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়েই এ সড়কটি পাড়ি দিতে হয়।
ফেনী-নোয়াখালী সড়কের মহিপাল ফ্লাইওভারের পর থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার এমন হাল। এটুকু রাস্তা করার ব্যাপারে সওজের কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। যদিও বর্ষায় সওজ কর্মচারী পাকা সড়কে ইটথেরাপি দিয়েছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এদিকে বৃষ্টি না হলে সড়কটি কিছুটা ভালো থাকলেও একটু বৃষ্টিতেই কাদা আর পানিতে একাকার হয়ে যায়। এসময় যান চলাচল অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায়। ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট।
এ সড়কে গাড়ির পরিমাণ নিতান্ত কম নয়। কিন্তু সড়কের উন্নয়নে কর্তপক্ষ উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। এ সড়কে চলাচলকারী সুগন্ধা বাসের চালক রসুল মিয়া জানান, অনেক ঝুঁকি নিয়ে জ্যামে পড়ে গাড়ি চালাতে হয়। এতে যাত্রীরা বিরক্তি প্রকাশ করে। লক্ষীপুরগামী যমুনা বাসের এক যাত্রী জানান, মহিপালের সামান্য একটু রাস্তার জন্য দীর্ঘ জ্যামে পড়তে হয় যা সত্যিই দুঃখজনক। এ বিষয়ে ফেনী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হালিমুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে দরপত্র চুড়ান্ত করা হয়েছে। খুবই শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। তার আগে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তিনি সাপোর্ট দিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেন।
Leave a Reply