নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লাখো মানুষের উপস্থিতিতে গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ আ’লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারীর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে মাস্টারপাড়ার বাসভবনস্থ মুজিব উদ্যানে তাকে দাফন করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে ফেনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে তার জানাযায় লাখো মানুষের ঢল নামে।
বিকাল সাড়ে চারটায় পাইলট স্কুল মাঠ ও আশপাশের সড়ক লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।জয়নাল হাজারীর ইচ্ছানুযায়ী ফেনী জহিরিয়া মসজিদের খতিব মুফতি ইলিয়াস হোসেন তার জানাযা পড়ান।
পরে তাকে শহরের মাস্টার পাড়াস্থ বাড়ির আঙ্গিনায় মুজিব উদ্যানে দাফন করা হয়। এর আগে ফেনী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।
জানাজার নামাজে চট্রগ্রাম বিভাগে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ফেনী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিজাম হাজারী এমপি, ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএনপির সাবেক এমপি জয়নাল আবেদিন ভিপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার তপন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পিপি হাফেজ আহম্মদ, ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জয়নাল হাজারী ১৯৮৪-০৪ পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফেনী-২ ফেনী সদর আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০১ সালের ১৬ আগস্ট রাতে জয়নাল হাজারীর বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। তিনি তখন পালিয়ে আত্মগোপনে ভারতে চলে যান।
২০০৪ সালে হাজারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে সব মামলা থেকে একে একে অব্যাহতি পান প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। দেড় দশক পর ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পদ পান তিনি।
Leave a Reply