নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনী-বিলোনিয়া রেলওয়ে স্টেশন চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায় অবস্থিত একটি অব্যবহৃত রেলওয়ে স্টেশন। এটি ২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের ফেনী-বিলোনিয়া রেললাইনের সর্বশেষ স্টেশন।
ফেনী জেলার পিছিয়ে পড়া উত্তরাঞ্চলের জনগোষ্ঠির জেলা সদরের সাথে যাতায়াতের পাশাপাশি ত্রিপুরার বিলোনিয়া হয়ে বাংলাদেশের বিলোনিয়া দিয়ে চট্টগ্রাম শহর ও বন্দরের সাথে আসামের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য ১৯২৯ সালে এ রেলপথ চালু করে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি।
২৮ কিলোমিটার এই রেলপথে বিলোনিয়াসহ ৯টি রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা হয়। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে এ রেললাইনের কাজ সম্পন্ন হয়। প্রথমদিকে এ লাইনে মালবাহী ট্রেন চলাচল করলেও ১৯৪৭ সালে ভারত, পাকিস্তান বিভাগের পর দুটি লাইন আলাদা হয়ে যায়। ভারতের অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ অংশে বিলোনিয়া থেকে ফেনী মহকুমা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি ট্রেন চালু করা হয়।
সে সময় ফেনীর উত্তরাঞ্চলের মানুষের জেলা শহরের সাথে আসার একমাত্র মাধ্যম ছিল এ রেলপথ। ১৯৭১ সালের পর রেল যোগাযোগের পাশাপাশি সড়ক যোগাযোগের উন্নতি হওয়ায় কদর কমে যায় এ রেলপথের।
ফলে লোকসানের কারণে ১৯৯৭ সালের ১৭ আগস্ট তৎকালীন সরকার ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ বন্ধ ঘোষণা করে।বিলোনিয়া রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে ১৭ আগস্ট ১৯৯৭ সালের পর থেকে কোন ট্রেন চলাচল করেনি। তবে এ রেলপথটি ভারতের অর্থায়নে আবারো সংস্কার করার একটি উদ্যোগ নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতের বিলোনিয়া পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের জন্য এ রেলপথ সংস্কার করা হবে।
অযত্ন ও অবহেলায় রেল লাইন এখন বিলুপ্তির পথে। রেল স্টেশনের পরিত্যক্ত কক্ষগুলো পরিণত হয়েছে মাদকসেবী, ভবঘুরে ও নানা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়ে। রেলের জায়গায় দোকান ও মার্কেট গড়ে তুলেছে ভুূমিখেকোরা।
তবে এ রেলপথটি ভারতের অর্থায়নে আবারো সংস্কার করার একটি উদ্যোগ নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতের বিলোনিয়া পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের জন্য এ রেলপথ সংস্কার করা হবে।
Leave a Reply