সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের এলাকাবাসী। শুক্রবার জুমার নামাজের পর মান্দারি ইসলামিয়া নুরুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মান্দারি ইসলামিয়া নুরুল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে মানব বন্ধনে প্রায় ১ হাজার এলাকাবাসী অংশ গ্রহন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য মাহবুবুল হক, বেলাল হোসেন, শাহ আলম, মান্দারি মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মো: হারুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফুিক উদ্দিন কালা মিয়া, গুলজার হোসেন আবদুল মজিদ প্রমূখ।
এলাকাবাসী বলেন, ৪ আগষ্ট ফেনীর মহিপালের ছাত্রজনতার উপর হামলার ঘটনায় গত ১৮ নভেম্বর ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে সেনবাগ উপজেলার আবদু রব। এ মামলায় ১৪২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় উদ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের ৩৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। এদের ৬ জন প্রবাসী, সাংবাদিক, মাদরাসার অধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যক্ষ, মসজিদের খতিব, রিক্সা চালক, টমটম চালক, সিএনজি চালক, মুদি দোকানদার, হার্ড়ওয়ার দোকানদার, মাংস ব্যবসায়ী সহ অনেক বিএনপি কর্মীদের আসামী করা হয়েছে। এতে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকার নিরীহ সাধারণ মানুষ এলাকাছাড়া রয়েছে। এমতাবস্থায় নিরীহ লোকজনকে মিথ্যা মামলা থেকে বাদ দিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অহবান জানান।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী সেনবাগ উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সিএনজি চালক আবদু রব বলেন, মামলার আসামীদের সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। তিনজন বিএনপি জামাতের নেতা আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কয়েকটি স্টাম্পে সাক্ষর নিয়েছে। পরে ঐ পেপারগুলো ফেনী মডেল থানায় তারাসহ জমা দিয়েছি। এ প্রতিবেদককে মামলায় কতজন আসাসী বা প্রধান আসামী কে তা কিছুই বলতে পারেনি বাদী আবদুর রব।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনার বাদী মামলা দিলে থানায় তা গ্রহন করতে হয়। তবে মামলা যাচাই-বাচাই করে দায়ী আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply