সাহেদ হোসেন চৌধুরী:প্রবীণ আ’লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর হোসেন চৌধুরীকে বুধবার বাদ জোহর জিএমহাট ইউনিয়নের বসিকপুরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসিল্যান্ড হাসিনা আক্তারের নেতৃত্বে ফুলগাজী থানার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদর্শন করেন। এসময় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা আ’লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ চৌধুরী, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা আ’লীগ সভাপতি হাজী জামাল উদ্দীন,ফেনী চেম্বার অব কমার্স সভাপতি আইনুল কবির শামিম ও পৌর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম প্রমুখ।
তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, মীর হোসেন চৌধুরী শুধু জিএমহাট ইউনিয়ন নয় তিনি ফেনী জেলার আ’লীগের জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিক ছিলেন। তার বিদায়ে আ’লীগ হারালো একটি হীরকখন্ডকে। তার মৃত্যুতে দলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হল তা কখনো পূরণ হবে না। তার মতো ত্যাগি ও সৎ নেতা বর্তমান সময়ে বিরল বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী ছিলেন মীরু চৌধুরী। তিনি ফেনী সমবায় ব্যাংকের সাবেক পরিচালক, আ’লীগের কাউন্সিলর, জিএমহাট ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি, বকশিশাহ্ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও জেলা কৃষকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন। তার জানাযায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, জি এম হাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক, আ’লীগ নেতাকর্মী, সাংবাদিক এবং এলাকার জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন। জানাযা শেষে তার মৃতদেহ পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।
তিনি ৭৮ বছর বেঁচেছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নিজ বাড়ীতে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ১ মেয়ে, নাতি-নাতনি, আত্বীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মীর হোসেন চৌধুরী সাংবাদিক সাহেদ হোসেন চৌধুরীর আপন চাচা। মরহুমের পরিবার তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকলের দোয়া চেয়েছেন।
Leave a Reply