জাবেদ হোসাইন মামুন: ফেনী-৩ (সোনাগাজী -দাগনভূঞা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী রহিম উল্লাহকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাটিয়েছে ফেনী মডেল থানা-পুলিশ।
রোববার দুপুরে ফেনী সদর আমলি আদালত-১ এ তাকে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক ফাতেমাতুজ জোহরা মুনা তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ১৪ অক্টোবর সোমবার মামলা ও রিমাণ্ডের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান তানিম দশ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করেছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফেনী জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট ইউছুপ আলমগীর জানান, টমটম চালক জাফর হত্যা মামলায় হাজী রহিম উল্লাহকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ তার রিমান্ডের আবেদন করেছেন। সোমবার আদালতে মামলা ও রিমান্ডে শুনানি হবে। এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটম চালক জাফর হত্যা মামলায় ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. রহিম উল্লাহকে (৬৬)। শনিবার ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ এর সদস্যরা। প্রসঙ্গত; গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফেনী শহরের পুরাতন কারাগারের সামনে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা টমটম চালক জাফর আহমদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা আছিয়া বেগম বাদী হয় গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ২০৫ জনের নাম উল্লেখ এবং ১০০-১৫০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হাজী রহিম উল্যাহকে ছয় নাম্বার আসামি করা হয়। হাজী রহিম উল্লাহ ২১ বছর সৌদি আরবের জিদ্দা প্রবাসী শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফেনী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ফেনী-২ আসনের সাবেক সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। তার স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, ছাত্রজনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি ঢাকার বাসায় ছিলেন। তিনি সৌদি আরবে একজন বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি রাজনীতি থেকেও অনেকটা দূরে ছিলেন। কিন্তু তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হত্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি স্বামীর দ্রুত মুক্তি কামনা করেছেন। তার স্বামী ডায়াবেটিস সহ নানা রোগে অসুস্থ বলে তিনি দাবি করেন।
Leave a Reply